আর্থিক ব্যবস্থার সংস্কারে দেয়া শর্তের বেশিরভাগই বাংলাদেশ পূরণ করেছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মূদ্রা তহবিল- আইএমএফ। বাংলাদেশকে দেয়া ঋণের ওপর প্রথম বাৎসরিক রিভিউ প্রতিবেদনে একথা জানিয়েছে সংস্থাটি। এতে বলা হয়েছে, নানা চ্যালেঞ্জ স্বত্বেও বাংলাদেশ অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সামাজিক উন্নয়ন অর্জনের মাধ্যমে দারিদ্র্যতা হ্রাস এবং মুদ্রানীতির কাঠামোকে আরও আধুনিক করেছে।
বাংলাদেশের জন্য এখন মূদ্রাস্ফীতি কমিয়ে আনাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করে সংস্থাটি। এজন্য কর ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ ও রাজস্ব আহরণে উন্নতির আহ্বান জানিয়েছে তারা। পাশাপাশি খেলাপি ঋণের ঝুঁকি বাড়ার কারণে এ বিষয়েও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে আইএমএফ।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে অনুষ্ঠিত অনলাইন প্ল্যাটফর্ম জুম বৈঠকে রাহুল আনন্দ বাংলাদেশের অর্থনীতি প্রসঙ্গের এসব কথা বলেন। অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় বাংলাদেশের নেয়া পদক্ষেপগুলো বেশ সন্তোষজনক বলে মন্তব্য করেছেন আইএমএফ’র এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রধান রাহুল আনন্দ ।
তিনি বলেন, মুদ্রাস্ফীতি কমানোই বাংলাদেশের এখন মূল চ্যালেঞ্জ। এ ছাড়া অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে মুদ্রানীতি আরও কঠোর করারও পরামর্শও দেন রাহুল।
প্রসঙ্গত, গেল ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ প্রস্তাবের অনুমোদন দেয় আইএমএফ। ৭ কিস্তিতে মিলবে এই অর্থ। যাতে গেল ফেব্রুয়ারিতে প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬২ ডলার পায় বাংলাদেশ। এছাড়া বুধবার ঘোষণা আসে, দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলার অর্থছাড়ের।
এ ঋণ দেশের অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় ভূমিকা রাখবে অর্থনীতিবিদরা সেটিই প্রত্যাশা করছেন। এদিকে আইএমএফের ঋণ ছাড়াও বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) থেকে চলতি মাসে আরও প্রায় ৮০ কোটি ডলার ঋণ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সব মিলিয়ে ডিসেম্বরে এসব সংস্থা ঋণ ছাড় দিলে দেড় বিলিয়ন ডলার প্রাপ্তির আশা করছে সরকার।